বাইরে বের হওয়ার আগে সুগন্ধি অনেকের বেলায়ই অপরিহার্য বিষয়। তবে সুগন্ধি কেবল দৈনন্দিন সাজসজ্জার অনুষঙ্গ হিসেবেই সীমাবদ্ধ নেই, ব্যবহৃত হচ্ছে মানসিক প্রশান্তি আর ঘুমের সহায়ক হিসেবেও।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বেডটাইম রুটিন’ বিষয়টি অনেক দিন ধরেই জনপ্রিয়। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ত্বক, চুল ও শরীরের যত্ন নিয়ে নিয়মিত কনটেন্ট তৈরি করেন ইনফ্লুয়েন্সাররা। এ ক্ষেত্রে বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন উপাদানের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে সুগন্ধি।
অনেক ইনফ্লুয়েন্সারই দাবি করেছেন, সুগন্ধি ব্যবহারের ফলে তাঁদের ঘুম যেমন ভালো হচ্ছে, তেমনই বেড়েছে ঘুমের পরিমাণও। তবে এটা শুধু ইনফ্লুয়েন্সারদের দাবি নয়, এর পেছনে আছে বিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণও।
বিজ্ঞান কী বলে
বিশেষজ্ঞদের মতে, গন্ধ আমাদের মস্তিষ্কের লিম্বিক সিস্টেমকে সরাসরি প্রভাবিত করে। এই লিম্বিক সিস্টেমের সঙ্গে আমাদের আবেগ, স্মৃতি এমনকি ঘুমের চক্র সরাসরি যুক্ত। আমরা যখন কোনো ঘ্রাণ নিই, আমাদের মস্তিষ্ক দ্রুত সেই ঘ্রাণকে সরাসরি অনুভূতি বা স্মৃতির সঙ্গে যুক্ত করার চেষ্টা করে। যে কারণে কিছু ঘ্রাণ আমাদের মস্তিষ্ককে শান্ত করে, কিছু ঘ্রাণ মস্তিষ্ককে খুশি করে তোলে। আর মস্তিষ্ক যত বেশি শান্ত ও খুশি থাকবে, ঘুমের জন্য তত বেশি ভালো।
সুগন্ধি যে শুধু ঘুমের জন্যই ভালো, তা কিন্তু নয়, সুগন্ধির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আমাদের সব ধরনের অনুভূতি। ভালো লাগা, খারাপ লাগা—প্রতিটি অনুভূতির সঙ্গে গন্ধের সরাসরি যোগাযোগ আছে। যে কারণে দেখা যায়, পছন্দের মানুষ কিংবা পরিচিত মানুষের ব্যবহার করা সুগন্ধি নাকে এলে সঙ্গে সঙ্গে মন ভালো হয়ে যায়। তেমনই কিছু কিছু ঘ্রাণ আছে, যা মন ও শরীরকে শান্ত করতে সহায়তা করে। এর মধ্যে আছে ল্যাভেন্ডার, চন্দন কাঠ, জেসমিনের সুগন্ধ।
পারফিউম ব্র্যান্ড ‘ইডিনাই’ কিছুদিন আগে এক গবেষণা চালিয়েছিল এ ব্যাপারে। সেখানে ব্যবহার করেছিল তাদের তৈরি ডি-স্ট্রেস পারফিউমগুলো। গবেষণায় দেখা গেছে, কিছু সুগন্ধ শরীর ও মনকে যেমন শান্ত করে, তেমনই আবেগ–অনুভূতির ওপরও প্রভাব ফেলে।
